Back

 

পুরানো সেই দিনের কথা

——-An Online Magazine

স্কুলের দিনের গল্প মানেই শৈশবের এক অমূল্য স্মৃতি। সেই সকালে ঘুম থেকে উঠে ইউনিফর্ম পরে, বইয়ের ব্যাগ কাঁধে নিয়ে স্কুলে যাওয়া, বন্ধুরা মিলে ক্লাসের বেঞ্চে বসে গল্প করা—এসবই আমাদের জীবনের অন্যতম আনন্দময় অধ্যায়। স্কুলের বন্ধুদের সাথে খেলার মাঠে ছোটাছুটি, টিফিনের সময় চিপস ভাগাভাগি করা, কিংবা ক্লাস টিচারের অগোচরে হাসাহাসি—এসব স্মৃতি যেন আজও জীবন্ত হয়ে থাকে মনে।

প্রতিদিনের রুটিন ছিল আমাদের কাছে নতুন অভিজ্ঞতা। ক্লাস টেস্টের জন্য পড়াশোনা না করে শিক্ষক ধমক খাওয়া, টিফিনের সময় আড়ালে গিয়ে আলু-কাবলি, ফুচকা, খাওয়া, আর কখনো কখনো স্কুল থেকে বাঁচতে ছোটখাটো অসুস্থতার অভিনয় করা, আর কখনো দুষ্টুমির জন্য পুরো ক্লাস একসাথে দাঁড়িয়ে থাকা, কখনো কখনো ক্লাস ফাঁকি দিয়ে মাঠে গিয়ে খেলাধুলা করা, পরীক্ষার আগে একে অপরের খাতায় তাকানোর চেষ্টা, বা গ্রুপ স্টাডির নামে আড্ডা দেওয়া, পরীক্ষার আগে আগের রাতে পড়ার বই খুঁজে পাওয়া না পাওয়া নিয়ে উত্তেজনা, কিশোর বয়েসের প্রথম ভালো লাগার গা শির-শিরে অনুভূতি, নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি তীব্র টান —এসবই ছিল স্কুল জীবনের মজার অংশ। আর ছিল শিক্ষকদের শাসন ও ভালোবাসা। কঠোর শাসনের পরও, আমাদের প্রতি তাঁদের ভালোবাসা ছিল গভীর।

স্মৃতিতে ভাসে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, পিকনিক, আর বন্ধুদের সাথে করা ছোটখাটো দুষ্টুমিগুলো। পরের বছর আবার নতুন ক্লাসে একই বন্ধুদের সাথে দেখা করার জন্য অপেক্ষা করার সেই অনুভূতি ছিলো বড্ড মধুর। আজ এসব স্মৃতি মনে করে হাসি আসে, আবার একটা মনখারাপও হয়। প্রিয় বন্ধুদের সাথে কাটানো সেই মুহূর্তগুলো আজও আমাদের হৃদয়ে গেঁথে আছে। স্কুলের দিনগুলো শুধুই পড়াশোনার জন্য নয়, বরং জীবনকে নতুনভাবে চিনতে শেখার জন্য এক অমূল্য সময়।
এই ওয়েব পেজ টি তৈরী করা হয়েছে সেই চির রঙিন সোনার দিনের স্মৃতি গুলোকে ধরে রাখার জন্য।
আসুন কালের খাতায় লিখে রাখুন আপনার স্কুল জীবনের সেই চির স্মরণীয় দিনগুলিকে। ভবিষৎ প্রজন্মের জন্য।

একটি পুরো গল্প বা কবিতা একটি সিঙ্গেল কমেন্টের মধ্যে লিখুন (অথবা কপি পেস্ট ) করুন।

 

Old school stories capture the essence of childhood—full of laughter, mischief, and learning. From classroom pranks to unforgettable teachers and lifelong friendships, these memories remain timeless. Every hallway and playground holds a special tale, reminding us of the simple joys and valuable lessons that shaped our younger years. In this page we are trying to record the stories written by the alumni of THS related to the school and this small town. We request to post the complete story into a single comment.

Subscribe
Notify of
guest
8 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
সুবিনয় কারফা
সুবিনয় কারফা
4 months ago

*ছেলেবেলা *

জীবন তুমি আমায় বল,
 ছোট বেলার আনন্দ আজ-
     কোথায়   চলে  গেল?
      জীবন তুমি আমায় বল,
      নানা রঙের দিনগুলো সব-
            কোথায় চলে গেল?

বোশেখ রাতে ঝড়ের শেষে,
    বাগানেতে ভোরেরবেলা,   
     আম  কুড়োবার পালা; 
     কাঁচা আম খাওয়ার পরে,
      কুশি কুশি কার মাসী খেলা-
            কোথায় চলে গেল?

গরমকালে  খেলার  মাঠে,                             
বিকালবেলায় দখিন হাওয়ায়,
    নানা রকম মজার খেলায়,
    পুকুর ঘাটে  দুপুর  বেলায়
      সাঁতার কাটার আনন্দ আজ-
             কোথায় চলেগেল?

আষাঢ় মাসে রথের মেলায়,
  জিলিপি আর জিভে গজায়,
     গরম গরম পাঁপড় ভাজায়,
       জগন্নাথের  রশি  টানায়,
        হুড়োহুড়ির আনন্দ আজ-
             কোথায় চলে গেল?

শারদীয়ায় মেঘের  ভেলায়,
কাশের বনে হওয়ার দোলায়,
  দুর্গা পুজোয় নতুন জমায়,
  ঢাকের বাদ্যি ধূপ আর ধূনায়,
    ঠাকুর দেখার আনন্দ আজ-
            কোথায় চলে গেল?

মাঘে সরস্বতী পূজার দিনে, 
পুষ্পাঞ্জলী দিয়ে মায়ের চরণে,
     বাগানেতে  গিয়ে  ছুটে,
    কুল গাছেতে লাফিয়ে ওঠে,
     কুল খাওয়ার আনন্দ আজ-
            কোথায় চলে গেল?

শীতের সময় নানা মেলায়,
 সার্কাসে আর নাগরদোলায়,
     ছাদে উঠে মিষ্টি রোদে,
     আকাশেতে ঘুড়ির খেলায়,
      কাটাকাটির আনন্দ আজ-
            কোথায় চলে গেল?

ফাগুনেতে হোলির দিনে,
  রং আবিরে রাঙিয়ে মনে,
     বন্ধু পরিজনের কাছে,
     শরীরটাকে ভূতের সাজে,
     দোল খেলার আনন্দ আজ- 
            কোথায় চলে গেল?

মাঠে মাঠে ছুটে ছুটে,
 গাছে গাছে উঠে উঠে,
  ইস্কুলেতে টিফিন বেলায়,
  লুকোচুরির সেই যে খেলায়,
   সেসব দিনের আনন্দ আজ-
          কোথায় চলে গেল?

জানি চিরশত্রু ‘সময়’ 
   তাদের করেছে ‘ হরণ’,
  এই ‘হরণ’ থামবে সেদিন,
    যেদিন আসবে ওই ‘মরণ’-

মাঝে মাঝে ভাবি আমি,
  উদাস  হয়ে  আনমনে- 
   ফিরে যদি পেতাম সেদিন,
   আর একটিবার এই জীবনে!

 হারিয়ে আমি যেতাম তখন,
  অতীত সেসব দিনের মাঝে,  
   আবার যাতে ফিরতে না হয়,
          এই বর্তমানের কাছে- 

    সুবিনয় কারফা ©ধূমকেতু

Subhra Chakraborty
Subhra Chakraborty
3 months ago

আমার শহর তারকেশ্বর
কলমে শুভ্রা চক্রবর্ত্তী।

ছোট থেকে দেখছি প্রতি শ্রাবণী মেলায় মানুষের ভিড়। পরম শ্রদ্ধায় তারকনাথের মন্দিরে নতশির হয়। শহরময় কলরব, উৎসব, কোলাহল, ব্যস্ততা। এসবের কেন্দ্র যিনি তিনি নির্বিকার। যুগ যুগ ধরে কোন কলরব তার মৌন শান্তভাব ভঙ্গ করতে পারেনি। রাজবাড়ির ভিতরে শিউলি ও বেলগাছের ছায়ায় লক্ষীনারায়ণ জিউ এর ও আদি শঙ্করাচার্যের মন্দিরে এরমই পরম শান্তি বিরাজ করে। সর্বত্র বিরাজমান ঈশ্বের অস্তিত্বের প্রকাশ এই দুটো মন্দিরে আমি বিশেষ ভাবে অনুভব করেছি। সারাবছর তারকনাথ মন্দিরে সন্ধ্যা আরতির পর যখন হরিনাম সংকীর্তন হয় মনে হয় যেন পরম আনন্দ বিরাজ করে… যেন ঈশ্বরের করুণা ও পরম মমতা কান দিয়ে হৃদয়ে পৌঁছে তা পমনে পড়ে ছোটবেলার কথা। আমাদের আদিবাড়িটা মন্দিরের খুব কাছে। ভোরবেলায় বাবার মন্দিরের গেট খোলার আগেই ঠাকুমার হাত ধরে মন্দিরের সামনে গিয়ে দাঁড়াতাম। গেট খুলতেই তাড়াতাড়ি বাবার দরজার চৌকাঠে প্রণাম করে পাশে অপেক্ষা করা… দরজা খুলবে বাবা তারকনাথের দর্শন লাভ করা। মন ভালো করা অনুভূতি। তখন ঘাটে যাবার দিকটায় মন্দিরের ছাদের কড়িকাঠে প্রচুর ঘোলা পায়রা থাকত। বিকেলের দিকটায় কোন কোনদিন ঠাকুমা আমাকে নিয়ে রাজবাড়ির ভিতরে মন্দিরের চাতালটায় নিয়ে গিয়ে বসে থাকত। রাজবাড়ির খিলানের ধারে ধারে কত টিয়াপাখি আর পায়রার ভিড় লেগে থাকত। বসে বসে দেখতাম। ঠাকুমা ঠাকুর-দেবতা, রাজবাড়ি, মন্দির নিয়ে গল্প বলত, সেসব শুনে কল্পনায় বিভোর ছোটবেলা কেটেছে। ঈশ্বরে বিশ্বাসের সংসবড় হয়ে আজ যখন তারকেশ্বরের বাইরে থাকি, জন্মস্থানের প্রতি টনটনে টান আরো বেশি করে অনুভব করি। শ্রাবণীমেলার ভিড়, মন্দিরের ঐ বিশেষ অনুভূতিটা পেতে যেন ছটফট করি। তারকেশ্বরের প্রতিটা রাস্তা, বাড়ি, মানুষজন যেন পরম আত্মীয়ের মত মনে হয়। আমার জন্মস্থান চিরদিন সেরা। সেরা ছিল, আছে ও থাকবে।

8
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x